একটা স্বপ্ন ছিল আমাদের পুর্বপুরুষের
একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের যেথায়।
আমরা আমাদের মত করে জীবন যাপন করব
রাজা বাদশা আর নবাবী শাসনের পর এল
বেনিয়া নীলকর আর শোষক ইংরেজ,
আগে শুধু শাসন ছিল এবার যুক্ত হল শোষণ,
আবার মরিয়া হয়ে আমরা ছুটলাম এদের
শাসন শোষণ উৎপীড়নের হাত থেকে বাচার জন্য
প্রাণপণ চেষ্টা করে করে আমাদের একসময় যখন
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেল, ঠিক তখনই আমরা
আমরা ধর্ম বর্ণ ভুলে একাকার হয়ে গেলাম।
ছিন্নভিন্ন করে দিলাম গোলামির জিঞ্জির
কিন্তু, আবার আমাদের উপর ভর করল ধর্ম,
ধর্মের দোহায় দিয়ে দিয়ে হাজার মাইল ব্যবধানে
দুটি ভূখণ্ডেকে এক করে দিল যাদের মধ্যে
না ছিল ভাষার মিল, না ছিল সংস্কৃতির মিল
আবার শুরু হল শোষণ আর নির্যাতন সাথে
অর্থনৈতিক নিষ্পেষণ, ভাষার অহমিকা আর
মানুষকে মানুষ মনে না করার এক অদ্ভুত নিয়ম।
ঘর আমার বাড়ি আমার জমি আমার তবুও
ফসল আমার না, তবুও বউ আমার না, ফলও আমার না
এ কেমন জীবন আমাদের দান করল ধর্মের নামে
শুরু হল আবার ভাগ্যবিপর্যয়ের আর এক যন্ত্রণা
আবার উঠে দাঁড়ানোর পালা আবার নিজের অধিকার
আদায়ে কথা বলার পালা কিন্ত কে শোনে কার কথা
পাকিস্তানি শোষকরা পশুর মতো আচরণ করে
কথায় কথায় অপমান করে করে নির্যাতন,
আর কতকাল দেখব এসব চোখ বন্ধ করিয়া।
তাই তো আবার পদ্মা পারে বসে না থেকে
জলের কলকাকলিতে মুখরিত না হয়ে
জলকেলিতে না মজে নিজের অধিকার আদায় করিতে
পদ্মা পারি দিয়ে বাঙ্গালীকে দিল ডাক।
শেখ মুজিবুর রহমান
বলল এবার তোরা সবাই সজাগ থাক
দিব নাকো একফুটাও জমিন ছাড়, আর দিব না নিতে
আমার মায়ের একফুটাও ফল ফসলির অনেয্য ভাগ।
আমার টুকু আমার রবে তোমার টুকু তোমার
মানেনিক শোষক গোষ্ঠি তাই তো আবার দিল ডাক,
সব বাঙ্গালী এক করে বলে দিল সবার কাছে
পাকিস্তানি এবার তোরা ভাগরে ভাগ আর দিবনা
আমার মায়ের একফুটাও দুধের ভাগ
ভাগরে এবার তোরা ভাগ, আমরা এবার নিজের হব
বাংলাদেশ স্বাধীন হবে,আমরা হব আমাদের।
যেই কথা সেই কাজ সব বাঙ্গালী একহয়ে তাই
দিল মরন কামড়, সেই কামড়ে পাকিস্তানিরা সব
ছাড়ল বাংলা লেজ ঘুটিয়ে গেছো বাঘ।
বাংলা আমার স্বাধীন হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,
স্বাধীন দেশের জাতির পিতা দেখল সারা জগৎ জুড়ে,
আবার দেশে নতুন করে শুরু হল চক্রান্ত,
সেই চক্রান্তে নিঃশেষ হল আমার জাতীর নক্ষত্র
দানবের নখের আচর পরে আমার জাতির পিতার শরীরে।
স্ব পরিবারে হল ক্ষতবিক্ষত, হায়রে আমার মানব জনম
কেমন করে সইব আমি আমার বুকের জমিন ভিজে
আজিই জাতির পিতার রক্ত ঝরে অসুরের ঐ আঘাতে
আবার আমরা পিছিয়ে গেলাম আবার আমরা হারিয়ে গেলাম।
স্বৈরাচারের কবলে আবার যুদ্ধ আবার উতালপাতাল,
ঢেউয়ের পরে ঢেউ চলে যায় ভাঙ্গে নদীর দুকূল।
আমরা আবার ভেসে বেড়াই হয়ে আকুল
নেইরে মাঝি নেইরে নৌকা নাইক কান্ডারী,
শেখের বেটি দেশে আইল হইয়া কান্ডারী।
এই নায়ে তো নাইকো তলা নাইকো কোন ঠিকানা
তবুও তুমি গাইলে গান গলা ছাড়িয়া।
ভাই হারাইলাম বোন হারাইলাম হারাইলাম
পিতামাতা সব হারাইয়া আমি নিঃশ্ব তোমাদেরই লাগিয়া।
তোমরাই আমার ভাই, তোমরাই আমার বোন।
আবার সবাই এক হয়ে যাই বাংলার নায়ের লাগিয়া
সেই ডাকে কি যাদু আছে জানেন দয়াল জানেন উপর ওয়ালা।
আবার সবাই এক হইলাম শেখ হাসিনার লাগিয়া
এবার বাদ সাধিল জাতির দোষর,
আমার দেশের বিজাতীয় বিজ ধারন করা কিছু বিষ্টা আর কুকুর মিলিয়া
শেখের বেটি পদ্মা পারে মানুষ হয়ে দেখেছে পদ্মা পারি দিয়া।
তাই তো বলে পদ্মা আমাদের দিছে দুভাগ করিয়া
আমরা সবাই মিলেমিশে থাকব জীবন ভরিয়া।
সেই চাওয়াতে পদ্মার উপর উঠবে সাকু
বলল বুক ভরিয়া,
উঠবেই সাকু প্রমত্ত এই পদ্মার বুক চিরিয়া।
আবার সেই রাজাকার আর আল-বদরের বংশধরা মিলিয়া,
লাগল পিছে ছাল তুলিতে মিলিয়া, একসাথে সব ডাকল
যেমন শিয়াল ডাকে মিলিয়া মিশিয়া।
সেই ডাকেতে দিল সারা বিশ্ব ব্যাংক আর বেনিয়া
শেখের বেটি হুংকার দিল যাব নাক ছাড়িয়া।
পদ্মার উপর সাকু তুলুম নিজের অর্থ করি মিলাইয়া
যেই কথা সেই কাজ, পড়ল ফেলে সকল কিছু
গড়তে হবে পদ্মা সেতু যখন মন করে হোক মরিয়া।
সবাই বলে পাগলে কি বলে হবে কি কাজ বাঁশ দিয়া
সেই লোকেরা এখন কোথায় আস তোমরা মিলিয়া
দেইখা যাও পদ্মার বুকে উঠছে সাকু শেখের বেটির লাগিয়া
আর কতকাল বোকা বানাইয়া বীর বাঙ্গালীকে
রাখবা তোমরা আটকাইয়া আটকাইয়া আটকাইয়া।
শেখের বেটি ডাক দিয়াছে আয়রে তোরা জাপাইয়া,
বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা আর তো কিছু চাহি না।
আমাদের বোন গড়বে এদেশ সোনার বাংলা করিয়া,
সোনার কন্যা শেখ হাসিনা সোনার বাংলার রূপকার
ফল ফসলের সোনার বাংলা বঙ্গবন্ধু আর শেখ হাসিনার।