অনন্ত যাত্রা ------- সোমা রহমান



আমি চলে যাব,,

হয়তো বেশিদিন নাই,,

প্রিয়তে মোরে করবো সমরপন।

তোমরা ফুল নিয়ে এসো,

আমার এ দেহখানি দেখতে।

বড় মাতাল হয়ে এসো নাচতে নাচতে,

আজ মোর আনন্দের দিন,

তার সাথে মিলনের দিন।

ফুলের ঘ্রাণে প্রিয় আমার মাতাল হবে,

তার মাতলামিতে,

আমিও হব তাল মাতাল,

নাচ-গানের তালে সুর পাবে।

তোমরা যারা অশ্রু নয়নে তাকাবে 

তারা এসো না-

মিলনে বিরহ মানায় না,

আনন্দের মিছিল হবে।


তোমরা যারা আছো,

আমায় চোখে নয় অন্তরেতে রেখো।

দেখবে আমি বৃষ্টি হব,

কোন তৃষ্ণার্থির মুখের জল হব,

চাতক পাখির প্রেমে পরাজিত হব,

নয়তো কোন হংস যুগলের

নাচের তাল হব।


প্রতিদিন ভোরের কোকিল হয়ে গান শুনাবো,

বয়ে যাওয়া নদী হয়ে তোমাদের মন জুড়াব।

নয়তো শিশির বিন্দু হয়ে,

তোমাদের পায়ে শুন্যলতা ছুয়ে দিব।

নবান্নে আমি থাকব কৃষক হয়ে,

তোমরা আমায় খুজে নিও।


তারা আমার দেহের খাচা নিয়ে পড়ে রবে,

ভাববে এখানেই আমার সমাপ্তি-

আয়োজন হবে, কুলখানি হবে,

পেটপুরে খাওয়া হবে,

সবই আমাকে ভুলে যাওয়ার উৎসব মাত্র।


আমার দেহখানি,কোথায় ছিলাম আমি,

ওহে বোকার দল, কখনো কি দেখনি আমায়?!

জন্ম নামে এসেছি, মৃতু নিয়ে চলে যাই,,!!

এটাই 'ত -আমি এটাই।

আমার 'ত মরন নাই,

থাকি শুধু আসা যাওয়ার অতিথির বেশে,

তোমাদের দেশে কিছুদিন কিছুকাল।

এইতো আমি,

প্রেমিক হয়ে আসি,

বিরহ হয়ে যাই।


হয়তো এই যাওয়াটাই আমার নতুন জন্মের কারন,

খুজে নিও যেথায় পাও মোরে,

প্রেম দিও।

মোর অনন্ত যাত্রার সংগি হইও না কেউ,

এতো আমার আর প্রিয়'র,

মিলনের সময়।।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post