গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী হচ্ছেন আব্দুল হাদী শামীম

স্টাফ রিপোর্টার #



বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  আদর্শের একজন নিবেদিতপ্রাণ গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সদস্য এ্যাড. মোঃ আব্দুল হাদি শামীম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী হওয়ায় নেতা কর্মীদের মনে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।


এডভোকেট মোঃ আব্দুল হাদী শামীম ১৯৬০ সালের ১৫ মে জয়দেবপুরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মৌলভী আব্দু ল হামিদ সরকারী উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ও মাতা মোসাম্মৎ মাহমুদা হামিদ ছিলেন গৃহিনী। কর্মী বান্ধব নেতা মোঃ আব্দুল হাদি শামীম এর নানি সায়েদুন নেছার মাতা শেখ আনতাবুন নেছা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাতা শেখ সায়েরা খাতুন ছিলেন  আপন বোন। এই সূত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন মোঃ আব্দুল হাদি শামীমের নানা।


শিক্ষাজীবনে গাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী রানী বিলাসমণি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ থেকে এইস.এস.সি ও স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর রাজনীতির পাশাপাশি আইনশাস্ত্রের প্রতি দুর্বলতা থেকে তিনি এল.এল.বি ডিগ্রী অর্জন করেন। 


রাজনৈতিক জীবনে পদার্পণ করেন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হলে কিশোর মনে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। ফলশ্রুতিতে কিশোর মোঃ আব্দুল হাদী শামীম ১৯৭৫ সালে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজে এইস.এস.সি তে অধ্যায়নরত অবস্থায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে রাজপথে নেমে পরেন। শুরু হয় তার রাজনৈতিক পথচলা। এই পথচায় তিনি অল্প সময়ে ১৯৭৭ সালে জয়দেবপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক নির্বাচিত হন। তার কর্মতৎপরতা ও সকলের সাথে মিলেমিশে চলার কারণে  তাঁকে ১৯৭৯ সালে জয়দেবপুর থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে দুর্বল করার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে বিভাজন তৈরি করা হয় , সেই কঠিন বিপদ সংকুল সময়ে ছাত্রনেতা এডভোকেট মোঃ আব্দুল হাদী শামীম ভাওয়ালগড় জেলা ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করার লক্ষ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি’র পাশে থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মূল ধারায় জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করেন। তাঁর কর্মদক্ষতার জন্য তাঁকে ১৯৮৩ সালে গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব অর্পনকরা হয়। আর গুরুদায়িত্ব চলে আসে স্বৈরাচার এরশাদ সরকার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দান। যার নেতৃত্ব তিনি সুচারু ভাবে পালন করে গেছেন সকল নেতা-কর্মীদের সহযোগিতায়। তারই ধারাবাহিকতার স্বীকৃতীস্বরূপ ১৯৮৭ সালে গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বও তাঁকে অর্পন করা হয়।


স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ১৯৯১ সালে গাজীপুর পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৫ সালে বি এন পি সরকার বিরোধী আন্দোলনে নেতৃস্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০০৪ সালে গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৭ সালে নবগঠিত গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী  কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়ে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।এছাড়াও একাধারে তিনি রাজনীতির পাশাপাশি সমাজিক কর্মকান্ডের সাথেও জড়িত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ লালন করার ফলশ্রুতিতে তিনি ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে অদ্যাবধি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যায় যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত বিশ্বস্ত সহচর মন্ত্রী পরিষদের জ্যেষ্ঠ সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক  মন্ত্রী আলহাজ্ব আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি রানী বিলাসমনি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকা ‘আনিবার’এ প্রকাশিত তাঁর নিজের নিবন্ধে লিখেন,”১৯৫৭ সালে এডভোকেট মােঃ আব্দুল হাদী শামীমদের বাসভবনে জয়দেবপুর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মুখ্যমন্ত্রী আতাউর রহমান, তৎকালীন মন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ এম এল এ,এবং শামসুল হক এম এল এ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বৈঠক করেন এবং দুপুরের খাবার গ্রহণ করেন।" এটি তাঁর রাজনৈতিক পরিবারিক ঐতিহ্য।  এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে আওয়ামী লীগের সাথে নাড়ীর টান তাঁর জন্মগতই। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক অসংখ্য নেতা কর্মীর পদচারণায় আওয়ামী লীগ হয়ে উঠেছে এডভোকেট আব্দুল হাদী শামীম এর  পারিবারের অংশ। তারই ধারাবাহিকতায় এডভোকেট আব্দুল হাদী শামীম আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নিজে একজন জনসম্পৃক্ত জনমানুষের নেতা হয়ে উঠেন। জনগণের অধিকার আদায়ের এই নেতা দূরদর্শী, দক্ষ, মেধাবী, সৎ-নির্লোভ, মুজিব আদর্শের একনিষ্ঠ সেবক অ্যাডভোকেট মোঃ আবদুল হাদী শামীম নিজেকে একজন সফল ও পরিপূর্ণ রাজনীতিবিদ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।


এছাড়াও তিনি বিভিন্ন  সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত আছেন তা হলো সদস্য,গাজীপুর জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটি। পরিচালক,গাজীপুর চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। জেনারেল বডি মেম্বার, এফ.বি.সি. আই বাংলাদেশ। আহবায়ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট এসোসিয়েশন গাজীপুর। বেসরকারি কারা পরিদর্শক, কেন্দ্রীয় কারাগার কাশিমপুর গাজীপুর। সদস্য,আইনজীবী সমিতি গাজীপুর। সভাপতি, মদিনাতুল উলুম সিনিয়ার মাদ্রাসা। সহ-সভাপতি, গভর্নিং বডি,গাজীপুর ফাজিল মাদ্রাসা। কার্যনির্বাহী সদস্য, গাজীপুর ক্লাব লিমিটেড। আজীবন সদস্য, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। আজীবন সদস্য, রাইফেল ক্লাব গাজীপুর। সাবেক সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি, দৈনিক গাজীপুর সংবাদ।


গাজীপুরের সর্বস্তরের আওয়ামী লীগ এর নেতাকর্মীদের মধ্যে নিবেদিতপ্রাণ একজন কর্মী হিসেবে এডভোকেট আব্দুল হাদী শামীম এর গ্রহণযোগ্যতা সর্বজনবিদিত। সকলেই মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে পূর্বেও তিনি যেমন তাঁর উপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেছেন। ঠিক তেমনি গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব তাঁর উপর অর্পিত হলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে একনিষ্ঠ চিত্তে তা পালন করবেন।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post