স্মার্ট গাজীপুর গড়তে দক্ষ জনসেবক আজমত উল্লাহ‘র বিকল্প নেই

 এইচ.এম শহিদুল ইসলাম :


এ্যাড. আজমত উল্লাহ খান বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একজন বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন বলেই এই নেতা বর্তমানে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং আসন্ন গাজীপুর সিটি নির্বাচনে তাঁর হাতে তুলে দিয়েছেন শান্তির প্রতিক নৌকা। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত “স্মার্ট বাংলাদেশ” গড়তে গাজীপুরে দক্ষ জনসেবক আজমত উল্লাহ‘র বিকল্প নেই ।

একদিকে তিনি যেমন দক্ষ রাজনীতিবিদ অন্য দিকে দক্ষ জন প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করার অভিজ্ঞতা  রয়েছে তার । তিনি ১৯৫৫ সালের ১লা জানুয়ারি গাজীপুর জেলা সদরের টঙ্গী ভরানে একটি সভ্রান্ত খান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মৃত ইউসুফ খান ও মাতা ফাতেমা খানম। ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান হয়েও নিজের প্রজ্ঞা, মেধা-মনন ও যোগ্যতা দিয়ে শিক্ষা এবং রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আসীন হয়েছেন। আইন পেশায় নিয়োজিত অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান সমাজের গরিব-দুঃখী ও তার দলের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিনা পারিশ্রমিকে আইনি সহায়তা দিয়ে এসেছেন। স্বাধীনতার পরাজিত শক্রু কতৃক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার পর প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ এবং স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। পৌর চেয়ারম্যান ও মেয়রের দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে  স্থানীয় সরকারে বিশেষ অবদান রাখায় তিনি বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে একাধিক বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত হন। এছাড়াও দেশ মাতৃকার সংকটময় কালে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বিশেষ অবদান রাখেন।

রাজনৈতিক জীবন: বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী এ্যাড. আজমত উল্লাহ খান। রাজনীতিতে আসার পর বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে রাজনীতি করতে হয়েছে তাকে। রাজনীতিতে তার দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল অনেক শক্ত। অন্য দলের প্রতিপক্ষ তো আছেই। আজমত উল্লা খান ১৯৬৯ সালে তৎকালিন টঙ্গী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন থেকে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু। ১৯৭২ সালে ভাওয়াল গড় জেলা ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৭৮ সালে শ্রমিকলীগ টঙ্গী আঞ্চলিক কমিটির আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক ভাওয়াল গড় ছাত্রলীগ। ১৯৭৯ সাল থেকে ’৯০ সাল পর্যন্ত এক টানা টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ’৯১ সালে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, একাধিকবার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। ২০০১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ’১৫ সালে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ’১৮ সালে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য পদ লাভ করেন। তার রাজনৈতিক উত্থান শুরু ১৯৯৫ সালে টঙ্গী পৌর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর। তিন মেয়াদে তিনি দীর্ঘ ১৮ বছর দক্ষতা ও সফলতার সঙ্গে টঙ্গী পৌর সভার চেয়ারম্যান ও মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের পর টঙ্গীতে আওয়ামী লীগের কাণ্ডারি হিসেবে তিনি গুরুদায়িত্ব পালন করেন। যে কারণে তিনি বারবার বিভিন্ন মামলা-হামলাসহ অসংখ্যবার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তৎকালীন সময়ে টঙ্গীতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের শূন্যতা সৃষ্টি হলে তিনি অল্প বয়সে টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করে দলকে সুসংগঠিত করেন। সেসময় অনেকেই তখন আওয়ামী লীগ ছেড়ে অন্য দলে চলে যায়। আজমত উল্লা খান সে সময় শক্তভাবে হাল ধরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যক্রম চালাতে থাকেন। আজমত উল্লা খানের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে অনেক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়েছে।

জনসেবায় আজমত উল্লাহ : জনসেবায় এ্যাড. আজমত উল্লাহ‘র জুড়ি নেই। একজন দক্ষ জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি নিজেকে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ পৌর চেয়ারম্যান ও সাবেক টঙ্গী পৌরসভার মেয়র ১৯৮০ সালে আইন পেশা দিয়ে তিনি কর্মময় জীবন শুরু করেন। টঙ্গী পৌরসভার চেয়ারম্যান ও মেয়রের দায়িত্বে থাকাকালে তিনি টঙ্গী পৌর এলাকায় বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা, মন্দিরসহ শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপন, রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ ও উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। ১৯৯৫ সালে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম বছর নগরের উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তার কর্মযজ্ঞে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল কিছুদিন পরই ব্যাপক ষড়যন্ত্র শুরু করে। এতে তার উন্নয়ন থেমে থাকেনি। এক পর্যায়ে ষড়যন্ত্র করে তার বিরুদ্ধে ১৪টি মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করার চেষ্টা করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তারপরও তাকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি। আসন্ন সিটি নির্বাচনে ইতিমধ্যে তার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। দলীয় কর্মীরা ছাড়াও সাধারন মানুষ তাঁর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। রাজধানীয় পাশের এই গুরুত্বপূর্ণ গাজীপুর সিটিকে নৌকার দক্ষ মাঝি এ্যাড. আজমত উল্লাহ খান তাঁর অতীত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন বলে গাজীপুরবাসী প্রত্যাশা করছেন।  

লেখক: 

যুগ্ম সাধারন সম্পাদক,কালিয়াকৈর প্রেসক্লাব।

নির্বাহী সদস্য,কালিয়াকৈর পৌর আওয়ামীলীগ।


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post