জাতি মুক্তি পেল অভিশাপ থেকে



কতশত সহস্রকাল থেকে স্বপ্ন ছিলো উড়াল দেবো পদ্মার উপর দিয়ে।আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে।পদ্মার উপর পাখির মতো উড়বো আমি দেখবো উত্তাল ঢেউ,নদীর বুকে দেখবো আমি দূর দিগন্তের চর।কতো চড়াই-উৎরাই,কতো মহাবড়াই ডিঙিয়ে আজ তুমি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে।মুখিয়ে ছিলাম কালের সাক্ষী হয়ে,ষড়যন্ত্রের জাল উন্মোচন করে তোমার দেখা পেতে।আজ তুমি প্রায় আঠারো কোটি বাঙালির গর্বের প্রতীক হয়ে অক্ষমতার গণ্ডি পেরিয়ে সক্ষমতার অনন্য মাইলফলক হয়ে উন্নতশীল জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে একধাপ এগোবার পথ দেখালে।

তোমাকে নিয়ে কতশত কলঙ্কের ফন্দি এঁকেছিলো ওরা।কলঙ্কের পদচিহ্ন এঁকে ওরা তোমাকে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করতে চেয়েছিলো।কিন্তু ওরা পারেনি।যেমনটি পারেনি ৭১ এ।আমরা মুখিয়ে ছিলাম সকল ষড়যন্ত্রের জবাব একদিন দেবই ইনশাল্লাহ।ঠিকই জবাব দিয়েছি।কত অপমান সয়েছি নীরবে নিভৃতে। ষড়যন্ত্রের ঝরো হাওয়ায় ভেসে না গিয়ে সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে আজ স্বমহিমায় উদ্ভাসিত তুমি।হে প্রমত্তা পদ্মা আজ তুমি কলঙ্কমুক!সকল কুচক্রীর দাঁতভাঙা জবাব দিয়ে লোকালয় থেকে আজ প্রকাশ্যে আসছো তুমি।

"আজ থেকে তুমি হলে কলঙ্কমুক্ত।

জাতি মুক্তি পেলো অক্ষমতার অভিশাপ থেকে"।

পদ্মাসেতু স্বাধীনতা অর্জনের পর স্বাধীনতা পরবর্তী বাঙালি জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ অর্জন।পাহাড়সম প্রতিকূলতা ও হাজারো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ বাঙালি জাতির বিশ্বাস,আস্থা,মনোবল,দৃঢ়তা,দেশপ্রেম,সক্ষমতা ও সংকল্পকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।এখন আর পেছনে তাকানোর সময় নেই।কেবলই সামনে এগিয়ে যাবার পালা।সামনে শুধু একটাই টার্গেট মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ঘোষিত রুপকল্প - ২০৪১ এর উন্নত,সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ বাস্তবায়ন।

লেখক--- এইচ এম উজ্জ্বল 

কবি ও শিক্ষক

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post